সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা এবং তাদের স”/ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। যার কারণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি)। কয়েকদিন আগে জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছেন গোয়েন্দারা। এর আগে তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ জ”ঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানতেন বলে স্বীকার করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তার ছেলে জ”ঙ্গিবাদে জড়িত জেনেও নীরব ছিলেন ডা. শফিকুর। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেননি। সংগঠন হিসেবে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ড. শফিকুরকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স”/ন্ত্রাসের সংজ্ঞা অনুযায়ী ছেলেটি জ”ঙ্গিবাদে জড়িত জেনেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানানোও অপরাধ। ছেলে একটি গ্রুপ নিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ে যেতে পারছে না জেনে শফিকুর তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন, যা স”/ন্ত্রা”সবাদে চূড়ান্ত সহযোগিতা।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের তিন দিনের রিমা”ন্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর।
জ”ঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার বিরুদ্ধে স”/ন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাতে জামায়াতের আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমানকে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জানা যায়, শফিকুর রহমান অনেকটা প্রত্যক্ষভাবে জ”/ঙ্গি তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে, বলে জানিয়েছে পুলিশ।