Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ছেলেকে সুস্থ রাখতে প্রেমের অনুমতি মা-বাবার, সেই সুযোগে তরুনীর সাথে অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটালেন যুবক

ছেলেকে সুস্থ রাখতে প্রেমের অনুমতি মা-বাবার, সেই সুযোগে তরুনীর সাথে অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটালেন যুবক

নাটোরের গুরুদাসপুরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের পরও বিয়ে না হওয়ায় প্রতারক প্রেমিকের বাড়িতেই গিয়ে অবস্থন নেয় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী। সে নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী প্রেমিকা এবং অভিযুক্ত প্রেমিক দুইজনই একই কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করে বিয়ে না করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে প্রেমিক ইকবাল হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই কলেজছাত্রী। সে ইকবাল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ব্রি-গারিলা গ্রামের সৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে। ইকবাল নাটোরের এনএস কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রতারিত মেয়েটি ইকবালের প্রতিবেশী ও নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বলা হয়, ইকবাল একজন মা// দকসেবী। তাকে সুস্থ রাখতে তার বাবা-মা তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে ইকবাল তার সাথে একাধিকবার কথা বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল গণি, মজিদ মন্ডল, মিজান ও এলাকার প্রধান জিয়া প্রামানিকসহ স্থানীয়রা বিয়ে করে ঘটনা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।

এদিকে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে ইকবাল মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। ইকবালের পরিবারের সদস্যরাও মেয়েটিকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গেটের সামনে অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছেন প্রেমিকা। রোববার (১২ জুন) সকাল থেকে প্রেমিক ইকবালের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণী বলেন, আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে মরে যাওয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। ইকবালের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তার অভিভাবক কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত (রাত ৯টা) মেয়েটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী কাদতে কাদতে বলেন আমার বাবা একজন দরিদ্র এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। এক সময় ইকবালের বাবা-মা আমাকে এই শর্তে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন যে তাদের ছেলেকে যদি আমি ভালো করে তুলতে পারি এমনকি তার সাথে সকল প্রকার ভ্রমণের খরচও দিতেন তিনি। ছেলে ইকবাল ভালো থাকলেও তার পরিবার আর কথা বলছে না। ইকবাল আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আত্মনন করা ছাড়া কোনো উপায় আমার থাকবে না। অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করায় তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্যের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

 

 

About Syful Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *