গতকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ম ত্বকী প্যালেসের পাশে এক ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্র ও ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার উপস্থিতিতে ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল (শুক্রবার) অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি রাত ১০টার কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই অবস্থিত ত্বকী প্যালেস নামের একটি বাড়িতে ছাত্রী মেসে এই ধরনের অসামাজিক কাজের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে ঐ ছাত্রী বেশ কয়েকমাস ধরে ঐ মেসে থাকছেন যিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করছেন এবং ঐ ছাত্রও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ অধ্যায়ন করছেন। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের দুই নেতার ওপর এই ঘটনার দায়িত্বভার দেওয়ার পর ঐ ছাত্রকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় লোকজন আরটিভি নিউজকে জানিয়েছনে, রাতে মেয়েটির জন্মদিন পালন করতে ছাত্রী মেসে প্রবেশ করেন ছেলেটি। ভবনের তৃতীয় তলায় জন্মদিনের কেক কাটা ও খাওয়া শেষে করে তারা অবস্থান করেন। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী মেসে প্রবেশ করে তাদের আপ’ত্তিকর অবস্থায় থাকতে দেখে ফেলেন। স্থানীয়দের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছাত্রটি কৌশলে বের হয়ে মেসের ছাদ থেকে ত্বকী প্যালেসের ছাদে লাফ দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ছাত্রকে ধরে আটকে রাখেন।
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও হোসাইন মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকতাও অবস্থান করতেন। পরে কর্মকর্তা, বাড়িওয়ালা মোজাম্মেল, ছাত্রলীগ নেতারা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে এইকটি গনমাধ্যমকে বলেন, নিয়মিত কিছুদিন যাবত এমন ঘটনা চোখে পড়ছে। ছাত্রী মেসগুলোর সামনে গভীর রাত অবধি ছাত্ররা অবস্থান করেন। মেসগুলোতে প্রবেশের নিয়মনীতি না থাকার কারণে এমনটি ঘটছে। এলাকার মেসগুলোতে অশ্লী’/ল কর্মকান্ড বন্ধ চাই আমরা। আজ এসব বিষয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। হল বন্ধ হওয়ার পরেও অনেক ছাত্র ও ছাত্রী আপ’ত্তিকর অবস্থায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন। এ নিয়ে বিরক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। রাতে ক্যাম্পাসে সহকারি প্রক্টর হাঁটলেও এসব বিষয়ে তিনি উদাসীন বলে অভিযোগ অনেকের।
এ ঘটনার পর ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন দেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, আমি এই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। তবে যেহেতু ঘটনাটি এখন শুনেছি তাই খোঁজখবর নেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নিব। ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর দেখব কী করা যায়।
তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরো বলেন, ছাত্রীদের হল বন্ধ হয়ে যায় অনেক তাড়াতাড়ি এরপর আর তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করার কোনো ধরনের অনুমতি নেই। বিশেষ কোনো কাজ থাকলে সেক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে বের হতে হবে। এ বিষয়টি বিবেচনার মাধ্যমে আমরা পরবর্তীতে কড়াভাবে পদক্ষেপে যাচ্ছি।