মানুষ প্রেমে পড়লে কত কিছুই না করে। প্রেমের টানে সাত সমুন্দর পাড়ি দিয়ে দেশান্তরী হয়ে থাকে প্রেমিক-প্রেমিকা। তবে ভারতের এক শিক্ষিকা তার ছাত্রীর প্রেমে পড়ে অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটালেন। তিনি তার ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য নিজের লি”/ঙ্গ পরিবর্তন করে ফেললেন। নিজেকে পরিবর্তন করার পর গত রবিবার অর্থাৎ ৬ নভেম্বর সেই ছাত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ভারতের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম একটি প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়েছে, ভরতপুরে মীরা নামে এক শারীরিক শিক্ষার শিক্ষিকা তার ছাত্রী কল্পনা ফৌজদারের প্রেমে পড়েছিলেন। তাকে বিয়ে করার জন্য সে বিশেষ স্থানের অঙ্গ পরিবর্তনের অপারেশন করিয়েছে।
প্রেমে সবকিছুই ন্যায়সঙ্গত এবং সে কারণেই তিনি আমার বিশেষ অঙ্গ পরিবর্তন করেছেন, মীরা সাংবাদিকদের বলেছেন। মীরা এখন তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন আরভ কুন্তল।
স্কুলে শারীরিক শিক্ষার ক্লাস চলাকালীন কল্পনার সঙ্গে মীরার দেখা হয়। কল্পনা রাজ্য স্তরে কাবাডি খেলতেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের জন্য দুবাই যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্কুলের খেলার মাঠে কথোপকথনের সময় কল্পনার প্রেমে পড়েন আরভ। কিন্তু তিনি সবসময় ছেলে হতে চেয়েছিলেন।
আরভ বলেন যে, তিনি একটি মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু সবসময় ভেবেছিলেন তিনি একজন ছেলে। তিনি সবসময় তার বিশেষ স=থানের অঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অ”স্ত্রোপচার করতে চেয়েছিলেন।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তার প্রথম অ”স্ত্রোপচার হয়েছিল। কল্পনা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আরভের সঙ্গে প্রেম করছেন। অস্ত্রো’পচার না করলেও তিনি তাকে বিয়ে করতেন। অস্ত্রো’পচারের জন্য তিনি আরভকে সঙ্গ দেন।
যদিও এই ধরণের বিয়ে এপর্যন্ত ভারতের কোথাও ঘটেনি, যেটা পুরোপুরি অপ্রচলিত এবং বিরল। এতো কিছু সত্বেও ওই ছাত্রী এবং শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। বর্তমানে তারা সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন।