গাজীপুরের কালিয়াকোরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে একই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মেয়েটির বাবা কালিয়াকোর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা সমালোচনা।
অভিযুক্ত শিক্ষক রতন আলী ঢাকার ধামরাই থানার জামিরাবাড়ী এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি সাটুরিয়া ষোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার সাটুরিয়াচালা এলাকার সাটুরিয়া ষোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন আলী ছয় মাস আগে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি স্কুলের গণিতের শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন রতন আলী। গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তিনি শারীরিক অবস্থার কারণ দেখিয়ে ৩ দিনের ছুটিতে যান।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীও প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে স্কুল ও পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো হদিস পায়নি। ওই দিনই মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা।
ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়, সন্তান থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষকের স্ত্রী আমার নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে ভালো অবস্থায় ফিরে পেতে চাই। শিক্ষক নামের ওই অমানুষের কঠিন বিচার চাই।
ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শামীম আল রাজী বলেন, আমার ধারণা এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এ কথা শোনার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে ঘটনাটি পুরোপুরি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হবে।
কালিয়াকোর থানার মৌচাক ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্রীকে উদ্ধার ও শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, বিষয়টি জানার পর শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।কিন্তু ওনাকে পাচ্ছি না। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।