মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন, যেখানে তিনি পুরনো বন্ধু নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। যদিও এটি আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায়, এটি তার বাংলাদেশের সাথে পুরোনো সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এর আগে ছাত্রজীবনে তিনি অন্তত দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন, যা অনেকের অজানা।
১৯৮১ এবং ১৯৮৭ সালে আনোয়ার ইব্রাহিম ইসলামী ছাত্রশিবিরের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন। প্রথম সফরে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ মাঠে একটি সম্মেলনে অংশ নেন, যেখানে তিনি দীর্ঘ বক্তব্য দেন। সেসময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের নেতারা, যাদের মধ্যে ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, কামরুজ্জামান এবং আলী হাসান মুজাহিদ। আনোয়ার ইব্রাহিমের সাংগঠনিক দক্ষতা ও বাগ্মিতা তাকে দক্ষিণ এশিয়ার ছাত্র সমাজের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে। তার এই সফরগুলো ইসলামী যুব আন্দোলনকে সমর্থনের প্রতীক হয়ে ওঠে এবং ছাত্রশিবিরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
এবারের সফরটি ছিল রাজনৈতিক দায়িত্বের কারণে। বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আনোয়ার ইব্রাহিম খুব দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তিনি ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। এই সফরে আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে মালয়েশিয়ার সহায়তার আশ্বাস দেন।
ড. ইউনূস তার দায়িত্বে সংখ্যালঘু ও সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন, যা আনোয়ারের সফরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।
উল্লেখ্য, আনোয়ার ইব্রাহিম ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ এবং ইসলামী যুব সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮১ সালে প্রথমবার তিনি ঢাকায় আসেন এবং একটি ছাত্রশিবিরের সম্মেলনে বক্তৃতা দেন।