দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদস্য পর্যায়ের বিপুল জনশক্তি সরাসরি অংশ নেন।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গণমাধ্যমকর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফেরদাউস উষাও উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রশিবিরের সম্মেলন প্রথমবার কাভার করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরদাউস উষা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। তিনি লেখেন,
“দীর্ঘ দেড় দশক পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন করছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়। গণমাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সম্মেলন কাভার করেছি। তবে এ সম্মেলনে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। নারী হিসেবে আমি যথেষ্ট সম্মান ও নিরাপত্তা বোধ করেছি। সংগঠনটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর কোথাও কোনো হুড়োহুড়ি বা ধাক্কাধাক্কি দেখা যায়নি।”
উনার এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এদিন ছাত্রশিবির তাদের ২০২৫ মেয়াদের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করে। জাহিদুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং নুরুল ইসলাম সাদ্দাম সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হন। সদস্যরা অনলাইনে ভোট দিয়ে এই নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
সম্মেলনের শেষপর্বে, সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ নবনির্বাচিত সভাপতির নাম ঘোষণা করেন এবং শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী, সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন দেন।