বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক এবং একজন সহ-সমন্বয়ক। এর আগে, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) চবি ক্যাম্পাসের শাহী মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত মামুন স্মৃতি পাঠাগারে এক মতবিনিময় সভায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই সভায় নতুন কমিটির নাম প্রকাশ করে শিবির নেতারা।
নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাম্মাদ ইব্রাহীম। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
কমিটির মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ওবায়দুল্লাহ (অর্থ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মুজাহিদুল ইসলাম (শিক্ষা সম্পাদক), এবং ইসহাক ভূঁইয়া (ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক) রয়েছেন। পাশাপাশি সহ-সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ।
শিবির নেতারা জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আমান বাজার পর্যন্ত স্কুল-কলেজের নেতৃত্ব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা থেকেই দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের তদারকির জন্য কমিটিতে দুজনকে যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, “সমন্বয়ক পদে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর তাদের পুনরায় সংগঠনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি আমরা নিজেদের সদস্যদের সেখানে অন্তর্ভুক্ত করব না।”
শিবির নেতাদের দাবি, চবির সাতটি হলের মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাড়া বাকি সব হলে তাদের কমিটি সক্রিয় রয়েছে। নতুন এই কমিটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে জানান তারা।