বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় ঘটে গেল এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রয়ানের দিন হলো ১৫ আগস্ট। এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এমনই একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিনে বরগুনায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ঘটলো অঘটন। সম্প্রতি জানা গেছে শোক দিবসে ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা/ইরাল হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য।
১৫ আগস্ট শোক দিবসে ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা করার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। তার নাম মোঃ মূসা তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের নায়েব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, জাতীয় শোক দিবসে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমির সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ফেরার সময় ছাত্রলীগের অযোগ্য নেতাদের কয়েকটি দল হামলা চালায়। তাদের
এ ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গণপিটুনি দেয়। এ সময় জেলা পুলিশের সদস্য মুসা শিল্পকলা একাডেমির গেটে দাঁড়িয়ে অডিটোরিয়াম থেকে বেরিয়ে আসা নেতাকর্মীদের মারধর করতে থাকেন।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মুসার একটি ভিডিও। ক্রিকেট-ফুটবল মিউজিক যোগ করে তার মারধরের দৃশ্য বিভিন্ন ট্রল পেজে শেয়ার করছেন অনেকে। অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে বিখ্যাত ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তুলনা করছেন।
তবে এ বিষয়ে ভাইরাল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খবরে দেখেছি মুসাকে বদলি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো চিঠি পাইনি।
প্রসঙ্গত, জানা যায় ছাত্রলীগকর্মীরা পুলিশের গাড়ির কাঁচ ইট ছুঁড়ে ভেঙ্গে ফেলে আর তখন পুলিশ ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রনে আনতে তাদেরকে লাটিচার্জ করে। এছাড়াও পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশসুপার মহররম আলী বরগুনার এমপি দীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভুর সাথে অস্বাভিক আচরণ করে বলেও জানা গেছে।