Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ছাত্রলীগ নেতার কান্ডে বিকল হয়ে গেছে এই রাবি শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ

ছাত্রলীগ নেতার কান্ডে বিকল হয়ে গেছে এই রাবি শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ

ক্ষমতা এমন একটি জিনিস যার ভালো ও সুষ্ঠ ব্যবহার করতে না পারলে তার প্রভাব এসে পড়ে সাধারণ জনগনের উপর। ক্ষমতা পেয়ে মানুষ নিজেকে অনেক সময় সামলাতে পারেনা ফলে ঘটিয়ে বসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সম্প্রতি জানা গেছে নির্যাতনে রাবি শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটাল ছাত্রলীগ নেতা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহারের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সামশুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার রবি শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে ওই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা।

ঘটনার পর থেকে সামছুল শুনছিল না। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে কানে ব্যথা নিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীর কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্র সামছুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ কানে ব্যথা অনুভব করেন। রাতে অসহ্য যন্ত্রণায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল সেন্টারের নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করেন। তিনি বাইরে গিয়ে তাদের পরীক্ষা করলেন।

রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসক জানান, তার বাম কানের পর্দা ফেটে গেছে। সে এখনো শুনতে পাচ্ছে না। এ ছাড়া কয়েকদিন ধরে মারধরের পর নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের একাংশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা তাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, কাউকে বললে আবরারের অবস্থা একই হবে। এরপর টানা দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ভিকটিমদের নিরাপত্তার দাবিও উঠেছে। বর্তমানে তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে।

এদিকে বুধবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেন সামছুল ইসলাম। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে ভাস্কর সাহা তার কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন এবং তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে ভাস্কর। মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি ভাস্করকে ক্ষমা করে দেন। ভাস্করের বিরুদ্ধে এখন তার কোনো অভিযোগ নেই। এমতাবস্থায় তার ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কান হলো মানউসের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কানের দ্বারাই মানুষ সবকিছু শ্রবণ করতে পারে। আর সেই কানই যদি বিকল হয়ে যায় তাহলে ব্যাপারটা আসলেই খুব দুঃখজনক।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *