চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু বকর ত্বহাকে কেন্দ্র করে এক বিরল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ‘বাংলার মুখ’-এর একজন প্রধান নেতা এবং ছাত্রলীগের একজন ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধর, হল দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এর ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ত্বহাকে ধরে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে।
এই পরিস্থিতিতে তাকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন, যিনি ত্বহার বড় ভাই। এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর অফিসে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, ত্বহা গত ১৪ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তবে প্রক্টর তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। ত্বহাকে বাঁচাতে আসা ইয়াসিন বলেন, তিনি কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ত্বহার অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী বলেন, ত্বহা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন এবং তিনি বাংলার মুখ বগির নেতা ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, ত্বহার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকায় তাকে প্রক্টর অফিসে আনা হয়, এবং তার বাবার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে