সাধারণভাবেই গত বছর কয়েক আগেই ময়মনসিংহ জেলা ছা’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হোসাইন মো. আফজালের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। এরপর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার শা’রী’রি’ক স’ম্প’র্ক’ করেন আফজাল। এরপরই শুরু হয় প্রতারণা।
অ’ন্তর’ঙ্গ মু’হূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকিতে বারবার শা’রী’রিক মিলন হয়। আফজালের (৩১) বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন ওই তরুণী।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় আফজালের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। আফজাল ময়মনসিংহের তালতলা উপজেলার খাগডহর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে মিরপুর এলাকায় থাকেন। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন ওই তরুণী।
তরুণীর মতে, আফজাল বিয়ের কথা বললে তার ক্যারিয়ার নষ্ট হবে এই অজুহাতে এড়িয়ে যায় এবং সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
ওই তরুণীর ভাষ্যমতে, অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে আফজালের পর’কী’য়া ছিল। বিষয়টি জানার পর ওই তরুণী আফজালকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এরপর তাদের একসঙ্গে থাকা ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আফজাল।
মেয়েটি বলল, আফজাল আমার সঙ্গে দিনের পর দিন প্রতারণা করেছে। ব্ল্যাক’মেইল করছে শা’রীরি’ক সম্পর্ক করতে। আমার জীবন দু:র্বিষহ করার হু’মকি দিচ্ছে। আমার ফোনে এসবের অনেক প্রমাণ আছে। তার বড় ভাই ও ছাত্রলীগের বড় ভাইদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি। তাই জীবনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে থানায় জিডি করেছি। ‘
তিনি বলেন, ‘আফজালের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল বলেন, ‘২০১৮-১৯ সালের দিকে তার (ওই তরুণী) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। পরে ভেঙে যায়। তিনি এখন যা বলছেন তা মিথ্যা। জিডির বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় যোগাযোগ করেছি। ‘
এদিকে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না দাবি করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ওই তরুণীর করা ‘জিডির বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খুতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।