সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যেকোনো বিবৃতি প্রকাশ এখন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরকারী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী (ধারা ২০-এর ১), কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলে তাদের যে কোনো ধরনের বিবৃতি, প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচার সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে। এই আইনের আওতায় সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, এবং যৌন নিপীড়ন। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রামাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, এবং কিছু ঘটনায় আদালতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়াও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা সশস্ত্র আক্রমণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের প্রাণহানি ঘটে। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারে থাকাকালীন ছাত্রলীগ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল এবং সরকারে পতনের পরও তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে।
ফলে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তালিকাভুক্ত সত্তা হিসেবে তাদের বিবৃতি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।