বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সমালোচনার তীর ছোড়াছুড়ি দেখা গেলেও এবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই ছাত্র নেতা। আর তারা হলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্ররা।
সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য, প্রেস রিলিজে কমিটি গঠন, অনুপ্রবেশকারীদের সংগঠনে আশ্রয় দেওয়া, স্বেচ্ছাচারিতা ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে অকার্যকর করে রাখা ইত্যাদি অভিযোগ অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের কাছে পেশ করার প্রস্তুতি চলছে।
ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অনিয়মের বিশদ বিবরণ সংবলিত যে অভিযোগপত্র তৈরি করেছেন তাতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অন্তত ৮০ জন স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের দফতর সেল বা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারীর মাধ্যমে এটি সিলগালা করে আওয়ামী লীগ প্রধানের কাছে পাঠানো হবে।
অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, ‘তাদের (জয়-লেখক) বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় পরিমাণ অভিযোগ। এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমি সরাসরি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, তারা যে সব কমিটি দিয়েছেন, তার ৯০ শতাংশ কমিটিতেই দুর্বল নেতৃত্ব এনেছেন। এ ছাড়াও কমিটিগুলোতে অছাত্র, বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্য, নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত অপরা’ধীদের স্থান দিয়েছেন। তারা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ঢাউস কমিটি করছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আমানতের খেয়ানত।
ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, আমরা নেত্রীর কাছে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজে সমন্বয় করছেন সহ-সভাপতি কামাল খান। শিগগিরই অভিযোগপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ।
উল্লেখ্য, তাদের শেষ পর্যন্ত কমিটিতে রাখা হবে কিনা সেটা এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রাজনীতির এই সময়ে এই ধরনের অভিযোগ ওঠার বিষয়টি আ.লীগে নতুন সমালোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আ.লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এ বিষয় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়।