কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মা”রধরের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ। তাকে রমনা থেকে প্রত্যাহার করে এবিপিএন-এ যোগদান করতে নির্দে্শ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তাকে ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্কিত ঘটনা। গত কয়েক বছরে একের পর এক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন ৩১তম বিসিএসের এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হওয়ার পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও এ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবসময়েই তিনি পার পেয়ে গেছেন। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধরের পর রোববার তাকে রমনা জোনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
জানা গেছে, হারুন-অর-রশিদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের মাড়িয়ালায়। তার বাবার নাম জামাল উদ্দিন গাজী, মা শেফালী খানম। ১৯০০ সালের জুন মাসে তার জন্মের পর, তিনি এলাকায় প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বাধা অতিক্রম করে ২০০৫-০৬ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে উঠেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বিএম মারুফ বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, হারুনের বাড়ি আমার বাড়ির একই এলাকায়। আমি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সভাপতি ছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি ছিলাম। কেন্দ্রের উপ-সম্পাদক ছিলাম। হারুনকে কখনো সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতে দেখিনি।
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা গণমাধ্যমকে জানান, হারুন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। সরকার পরিবর্তন হলে হলের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। পুলিশের এএসপি হলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ে। ততদিনে ছাত্রলীগ নেতাও হয়ে ওঠেন কেন্দ্রের বড় নেতা। এরপর থেকে তিনি ছাত্রলীগ নেতার বন্ধু হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিতি পান। তিনি ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত রমনা জোনের এডিসি হিসেবে পদায়ন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক হলের সাবেক সহ-সভাপতি গণমাধ্যমকে বলেন, হারুন জিয়া হলে ওঠেন ছাত্রদলের রাজনৈতিক রুম ২০৮-এ। এরপর তিনি ছাত্রদলের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত ৩১০ নম্বর কক্ষে ছিলেন। বন্ধু ছাত্রলীগ নেতাদের সূত্র ধরে আরও অনেক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে পরিচিত হন। সেই সুবিধা নিয়ে কোনো পদ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কমিটি গঠনের পর বর্ধিত কমিটিতে সহসম্পাদকের পদ পান।