ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ তম সম্মেলনের মাধ্যমে আজ দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হলো। ছাত্রলীগের নির্বাচন কমিশনার এই সম্মেলনের মাধ্যমে যারা প্রার্থী হয়েছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নিকট প্রেরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানোর পর তিনি যাচাই-বাছাই করবেন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অধিবেশনের সময়কাল ছিল মাত্র ১৫ মিনিট।
দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই অধিবেশনে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করা হবে। সমর্থন ও প্রস্তাব পাস করার বিষয়টি নিয়ে কাগজপত্র নেত্রীর কাছে পাঠাবেন। পরে নেত্রী যাচাই-বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করবেন।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আজ আমরা দ্বিতীয় অধিবেশন থেকে প্রার্থীদের নাম আপার কাছে পাঠাব। এতে আপনারা একমত?’ উপস্থিত সবাই একাত্মতা প্রকাশ করেন।
লেখক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা এখান থেকে সবার সিভি আপার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপা আমাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক. তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা চূড়ান্ত।
ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা আজ দেওয়া হয়নি। জানা গেছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার আগেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো প্রার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাইয়ের পর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে, বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে রেজানুল হক শোভন ও গোলাম রব্বানী দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।