ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে না নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, তাকে অনেকেই উপদেষ্টা হওয়ার জন্য ফেসবুকে ট্যাগ দিচ্ছেন, তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকায় তিনি এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা কোনো এনজিওর প্রতিনিধি নই, তাই উপদেষ্টা হওয়ার সুযোগটাও পাচ্ছি না।”
আসিফ মাহতাব বলেন, “সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, জনগণ কিংবা রাজনৈতিক দলের মতামত না নিয়েই উপদেষ্টা নিয়োগ করছে, আর বলা হচ্ছে তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কিন্তু সেই ছাত্রদের মধ্যে কি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ছিল? এর মাধ্যমে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবদান ও ত্যাগকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার গঠনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপদেষ্টা করা হলো, অথচ তাদের থাকার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি জনমুখী রাজনীতি এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, কিন্তু তবুও আমাকে কোনো পরামর্শ চাওয়া হয়নি।”
বৈষম্যের প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপদেষ্টা করা হলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কেন বাদ দেওয়া হলো? এটা কি বৈষম্যের উদাহরণ নয়?” তিনি মার্কিন রাজনৈতিক চিন্তাবিদ নোম চমস্কির বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, এনজিওরা নিজেদের মতো করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, এবং দেশের বর্তমান এনজিও পরিচালিত সরকারও তেমনই করছে।
এছাড়া তিনি বলেন, “আমি এই সরকারের নিয়োগ নিতে চাই না। যদি ছাত্র-জনতা আমাকে নিয়োগ দেয়, তবে সেটা তাদের ওপরই নির্ভর করবে।” ছাত্র আন্দোলনে নিজের ত্যাগের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম করেছি, উপদেষ্টা হওয়ার জন্য নয়। সংগ্রামের সময় কারাগারে ছিলাম, আর যারা এখন উপদেষ্টা হচ্ছেন, তারা তখনই স্বৈরাচারের সমর্থনে ব্যস্ত ছিলেন।”