সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে পরিচয় থেকে শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহারের (৪০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে কলেজছাত্র মামুনের (২২)। আর এরই জের ধরে দীর্ঘ ৬ মাস প্রেমের পর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তবে দাম্পত্য জীবনের মাত্র ৬ মাস না যেতেই লাশ হতে হলো শিক্ষিকা খাইরুন নাহারকে।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে নগরীর বালারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকের স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।
শিক্ষিকা মোছা. খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
এর আগে ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ের খবর ভাইরাল হয়। এটি সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। এবার তার মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। ফেসবুক পেজে খবরটি শেয়ার করার পর মাত্র ২৮ মিনিটে ২ হাজার ৭০০ মন্তব্য পড়েছে।
সারমিন সুলতানা নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন- দুঃখের বিষয় এই সমাজ খুবই খারাপ। আবুল হাসান লিখেছেন, এই সমাজের লজ্জা, তারা কোনো অবৈধ সম্পর্কে জড়ায়নি। বয়সের পার্থক্য তাতে কি, মনের মিল বড়। মৃত্যুর খবর শুনে আমি খুবই মর্মাহত।
জিসান রহমান লিখেছেন, হয়তো অনেক ডিপ্রেশনে ছিলেন, হয়তো আশেপাশের মানুষের কথা ভালোভাবে নিতে পারেননি। এটা দুঃখের. আরিয়ান জিসান আতিকের কথায়, আমি এটা শুনতে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না, হয়তো এই সমাজের কিছু নোংরা মানুষের জন্য সে আত্মহনন করতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।