সম্প্রতি করা গোলাম মওলা রনির করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোষ্ট আলোচানায় উঠে এসেছে।
সেই পোষ্টে তিনি লিখেছেন, ছবির দুই মহোদয় দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ! তারা একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত এবং সরকারের নীতিনির্ধারক আমালাদের শিরোমণি ! একজন হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অন্যজন হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান !
তারা উভয়েই ভয়ানক অর্থনৈতিক চাপে আছেন ! একজন টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে ডলার এনে দেশের রিজার্ভ ঠিক রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ! আর অন্যজন জনগনের নিকট থেকে কর আদায় করে সরকারকে টিকিয়ে রাখার কাজে নিয়জিত রয়েছেন !
সরকারের অন্তিম সময়ে তাদের কর্মকাণ্ড যেমন প্রধানমন্ত্রীকে স্বস্তি দিতে পারে তদ্রূপ তাদের যে কোন ভুল অথবা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত সরকার পতনের জন্য প্রধান উপলক্ষ হতে পারে ! তাদের অধিনস্ত অফিসে সমূহ এই মুহূর্তে কি করছে তার একটি বাস্তব নমুনা পেশ করার জন্যই আজকের এই স্ট্যাটাস !
অতি সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সরকারের বারোটা বাজিয়ে আওয়ামী লীগের অন্তর্জলি যাত্রার গতি বাড়িয়ে দিবে ! প্রধানমন্ত্রীর চলমান হাজারো সমস্যাকে শতগুন বাড়িয়ে দিবে এবং দেশের ডলার সংকট আরো প্রকট করে তুলবে !
পত্রিকাতে দেখলাম – এখন থেকে যারা ফ্রি লান্সিং করে দেশে বসে ডলার আয় করছেন তাদের আয়ের উপর ১০ শতাংশ হারে কর কেটে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংক গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে !
উল্লেখিত সিদ্ধান্ত যে কতো বড় আত্মঘাতী তা যখন উল্লেখিত মহোদয়গন টের পাবেন তখন ফ্রি লান্সিং এর আয়ের উপর ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেননা ।
দেশে যারা ফ্রি লান্সিং করেন তারা তাদের আয় বাংলাদেশে না এনে পৃথিবীর যে কোন দেশে নিয়ে যেতে পারেন এক ঘণ্টার মধ্যে ! জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করেও ফ্রি লান্সারদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া তো দুরের কথা তাদের টিকিটি স্পর্শ করতে পারবেনা ! তারা যদি দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান তবে পৃথিবীর সবদেশ তাদেরকে স্বাগত জানাবে এবং উল্টো প্রণোদনা দিয়ে তাদের কাজকে উৎসাহ দিবে !
সরকার যখন ডলার সংকট এবং অর্থ সংকটে হিমসিম খাচ্ছে তখন আমলাতন্ত্রে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী বিরোধী শক্তি গুলো কিভাবে নতুন নতুন সংকটের গিরিখাদ তৈরি করছে তা তদারক করার প্রজ্ঞা যদি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের না থাকে তবে চলমান সংকটকে বহুগুন বাড়িয়ে সরকার পতনের জন্য আর বিএনপি-জামাতের দরকার পড়বেনা !
উল্লেখ্য, একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকেও নির্বাচন করছেন তিনি।