সম্প্রতি তারকাদের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক আলোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিনোদন জগতের সঙ্গে জড়িত সবাইকে। তাদের আচারণ ও চলা-ফেরার ভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় নানা মহলে।অথচ এসব বিষয়ে তাদের কোনো ধরনের মাথা ব্যাথা নেই। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
দেখুন সুপার গর্জিয়াস গোলাম ফরিদা ছন্দাকে। কাঁধ পিঠ উন্মুক্ত বা অবলীলায় উরুদেশ দেখিয়ে ছবি তোলেননি তিনি। সাগরপাড়ে ছাল-বাকলা উঠা রিকেট রোগীদের মত হাঁটু দেখিয়ে ফেসবুক গরম করেন না। স্মার্টনেসের নামে অশ্লীলতার জোয়ারে ভাসেন না। মুর্খ পেঁচামুখীর মত অহংকার করে বলেন না, “একচল্লিশ বছরে আমার ফিটনেস হেনতেন ব্লা ব্লা ব্লা………..!! কিন্তু নিজেকে ব্রিজিত বার্দো র্যাকুয়েল ওয়েলচ ভাবা আদেখলা ওই অভিনেত্রী এভাবে দর্শক হারাচ্ছেন তা কিন্তু তার মোটা মাথায় ঢুকছে না। অশ্লীল বেলেল্লাপনা করে তার অর্জন কি?আদতে কোনো অর্জন নেই। পুরুষদের জন্য হস্তচালনা শিল্প উদ্ভাবন করে দর্শকের কাছে তিনি সম্মান হারাচ্ছেন। ভদ্র শিক্ষিত দর্শক তার বেলেল্লাপনায় বিরক্ত। উপরন্তু উগ্র কথাবার্তা বলে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন ওই গুবলেট অভিনেত্রী। তিনি ভাবছেন দেহবল্লরী দিয়ে কলাশিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছেন। আর তার অশ্লীল ফটোগ্রাফিতে হাওয়া দিচ্ছে “ধব্জা-বজা” কিছু লোচা সাংবাদিক।
গোলাম ফরিদা ছন্দা একজন ব্যক্তিত্বময়ী নারী। নারীর সতেজ সলাজ কমনীয় সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়েছে তার পোশাক এবং মেকআপে। ছন্দা অভিনীত কয়েকটি নাটক দেখেছি। বেশ সুন্দর অভিনয় করেন। ছন্দাকে দেখলে আমার মনে হয় তার মধ্যে রয়েছে মোহময় সৌন্দর্যের ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা। ছন্দা তার কামিনীসুলভ মাদকতা দিয়ে শিল্পীসত্ত্বাকে ছন্দায়িত করেছেন। রুচিশীল মার্জিত সাজপোশাক চোখে আরাম ঢেলে দেয়। ব্যক্তিত্বে তিনি মনমোহিনী। তার ফ্যাশন সেন্স মনকাড়া অভিব্যক্তি আর স্টাইলিশ চলনবলনের মাধ্যমে পরমা সুন্দরী হয়ে উঠেছেন। ছন্দার আছে যমজ কন্যা টাপুর টুপুর। তারাও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। কন্যাদের একজন ওয়েব ফিল্ম ভাইরাসে সুন্দর অভিনয় করে নজর কেড়েছে। গুণী মায়ের গুণী কন্যাদ্বয় রাইজিং স্টার হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।