১৩টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত হারের বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সর্বোচ্চ আমদানি হার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও কয়েকটি ব্যাংক ১১৭ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেছে। একই ভাবে কেনা হয়েছে ১১৬ টাকা দামে। স্পষ্টীকরণের জন্য চাওয়া তালিকায় কোন ব্যাংক রয়েছে তা জানা যায়নি, তবে একটি সূত্র জানিয়েছে যে তারা সবই বেসরকারি খাতের ব্যাংক। এর মধ্যে একটি শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকও রয়েছে।
ডলারের লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সততা এবং গ্রাহক পরিষেবা এবং বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ দ্বারা পরিদর্শন করা হয়। প্রাথমিক পরিদর্শনে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে ডলারের অনিয়ম পাওয়া গেছে এবং এই খাতের অন্যান্য ব্যাংকও ডলার বিক্রির তথ্য যাচাই করছে।
পরিদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক ব্যাংক বেশি দামে ডলার কেনা থেকে বিরত থাকে। এমনকি মানি চেঞ্জাররাও গতকাল ডলার ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেন। ব্যাংকাররা জানান, ডলারের দর বাজারভিত্তিক হলেও এখন তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবিবি ও বাফেটার মাধ্যমে নির্ধারিত ডলার ক্রয় হার এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা; ১১০ টাকা আমদানি হলেও সেই বিনিময় হারে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।