চোখের ইশারায় ভুক্তভোগীকে কাছে ডেকে নেন এক নারী। আর এরপরই অসামাজিক কাজের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন কোনো এক স্থানে। যেখানে আগে থেকেই ফাঁদ পেতে রাখেন দলের অন্যান্য সদস্যরা। এরপর প্রাণে মারা ভয় দেখিয়ে তার কাছে থেকে হাতিয়ে নেনে মোবাইল-টাকা।
এ ছাড়া জিম্মি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। তবে নগরীর পাঁচলাইশ থানার বিশেষ অভিযানে এই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন থানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ সজিব (২২), সাকিব (২১) ও সুমন (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ ২ রোড থেকে চক্রটি শুরু হয়। মহসিন (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইভাবে গত ৩০ ডিসেম্বর খোকা মারমা (৩২) নামে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে চক্রটি। দুজনের অভিযোগ পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এই চক্রকে গ্রেপ্তার করতে একটি টিম গঠন করে। একপর্যায়ে ৩ জন মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকেই অভিযোগ করেননি। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দলে অনেক মহিলা রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ সময়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের দায়ের করা মামলার আলোকে তদন্ত চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।