মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি। লক্ষ্য আর শিক্ষাকতা নয়, এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। আর এরই জের ধরে রীতিমতো সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন এক প্রধানশিক্ষক। গত সোমবার এ তথ্যটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তফসিল ঘোষণার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হুদা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন।
মো. কামরুল হুদা উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। ১১ নভেম্বর এ নির্বাচন হবে।
প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হুদা বলেন, আমি শিক্ষকতা পেশায় দীর্ঘ ৩০ বছর আছি। আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। এখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমি চাকরি থেকে অব্যাহতি পেতে আবেদন করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া জানান, অব্যাহতি পত্রটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জেলা অফিস সেটা গ্রহণ করেছে কি না সেটা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, উপজেলা থেকে ওই শিক্ষকের অব্যাহতির আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কি না, মন্ত্রণালয় থেকে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে উনার (প্রধান শিক্ষক) সব বিষয়ে ক্লিয়ার হতে হবে। দাখিলের আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণে যেসব অযোগ্যতা, তা সমাধান করতে হবে। শুধু অব্যাহতির আবেদন দিলেই হবে না, আবেদন গ্রহণ করার পর নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র সঠিক থাকলে নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরেরএই প্রধাণ শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও, আবার অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, নির্বাচন করার অধিকার সবার রয়েছে। আর তাই একজন শিক্ষক হয়ে কেন তিনি চেয়ারম্যান পদে লড়তে পারেবেন না?