সারাদেশে চলছে ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচরনা সহ নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য মেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে। তবে এখানে আছে ভিন্ন প্রকৃতির একটি খবর। এ যেন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া চেয়ার। প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন বাবা তারপর মা পরবর্তিতে মেয়ে হন সেখানকার চেয়ারম্যান। এ চেয়ার যেন তাদেরই পরিবারের দখলে।
কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের পিতা কে এম মোশাররফ হোসেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুই বারের ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পিতার মৃত্যুর পর তার মা আকলিমা খাতুন (জেলার প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান) ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। গত রবিবারের নির্বাচনে পিতা মাতার পথ ধরে মেয়ে সাফিয়া পারভীন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। ফলে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে চেয়ার টানা ২০ বছরের জন্য সাফিয়া পরিবারেরই দখলে থকছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত ভোট প্রাপ্তির ফলাফলে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাফিয়া পারভীন পেয়েছেন ৭২৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক রবিউল্লাহ বাহার পেয়েছেন ৬৮৭৫ ভোট।
এছাড়া চেয়ারম্যান পদে কে,এম রওশান আলী মোটর সাইকেল প্রতীক ৬৪৩ ভোট, আঃ রহমান মোল্লা আনারস প্রতীক ৬৩৪ ভোট, শ্যামলী রানী নৌকা প্রতীক ৩৮৫ ভোট, শাজাহান কবির শানু হাতপাখা প্রতীক ৭৯ ভোট, আসানুর রহমান অটোরিকশা প্রতীক ৪০ টি ভোট, নজরুল ইসলাম চশমা প্রতীক ৩৯ ভোট পেয়েছেন।
সাফিয়া পারভীন প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, ইউনিয়ন বাসী সততার পুরস্কার দিয়েছেন। প্রয়াত বাবার মতো ইউনিয়নে অসহায় মানুষের সেবায় মা আকলিমা খাতুন যেমন নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তেমনি সততা ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে গণমানুষের সেবায় তিনিও সদা প্রস্তুত থকাবেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে দল মত নির্বিশেষে ইউনিয় বাসির সার্বিক সহায়তা কামনা করেন।
সাফিয়া পারভীন চেয়ারম্যান হওয়াতে সাফিয়া সহ তার পরিবার যেমন খুশি, পাশাপাশি এলাকাবাসীও অনেক খুশি। এলাকাবাসী আশাবাদী সাফিয়া তার বাবা-মার মতই তাদের বিশ্বাস রাখবেন। তারা প্রত্যাশী সাফিয়া তার বাবা মার মতই সততা বজায় রাখবেন। মায়ের পর ঐ জেলাতে ২য় নারী ইউপি চেয়ারম্যানের খাতায় নাম লেখালেন সাফিয়া।