সম্প্রতি এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সামনে দলীয় নেতাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেকে ধারনা করছে ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঘটিয়েছে। যদিও এমন কথার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের বাড়িতে চেয়ারে বসা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর উপস্থিতিতে নগরকান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে উপজেলার সকল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে বৈঠক আবার শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির একাধিক নেতা লড়াইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সকল ইউনিয়নের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কোনো নেতা আহত হলে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের নেতাকর্মীদের রক্ত দিতে হবে। আওয়ামী স/ন্ত্রাসী বাহিনী কোনো হু/মকি দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না। ‘
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মিরন- নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলালউদ্দিন হেলাল প্রমুখ।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই ঘটনা নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিভিন্নভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে দলীয় নেতারা। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা। তবে বিএনপি’র অনেকে ধারণা করছে ঘটনাটি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঘটানো হয়েছে।