গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায় মাদ্রাসা যাওয়ার পথে এক ছাত্রী অপহরণের শিকার হন৷ পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান শুরু করলে অবশেষে এক সপ্তাহ পর নারায়ণগঞ্জ থেকে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ৷ একইসাথে অপহরণের অভিযোগে সেলিম হোসেন (২৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে৷
অভিযুক্ত সেলিমকে গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সেলিম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার জালাল শিকদারের ছেলে। আর ভুক্তভোগীর বাড়ি জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামে। সে দর্শনা ডি এস ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা-মা দুজনেই সৌদি প্রবাসী। সে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবীর জানান, ওই শিক্ষার্থীকে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে পুলিশ সন্ধান পায় তাকে নিয়ে রাখা হয়েছে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায়। পরে দর্শনা থানা পুলিশ ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযান চালায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। সেখান থেকে অপহৃত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় অপহরণ মামলার প্রধান সেলিম হোসেনকে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মামা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন৷
এসময় সংবাদমাধ্যমকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবীর আরও জানান, উক্ত শিক্ষার্থী কোনোপ্রকার শারীরিক হেনস্হার শিকার হয়েছেন কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে ফরেনসিক টেস্টও করানো হবে৷