Wednesday , November 20 2024
Breaking News
Home / International / চুড়ান্ত বোঝাপড়ার পথে নতুন আইন করে পরিস্থিতি সামাল দেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

চুড়ান্ত বোঝাপড়ার পথে নতুন আইন করে পরিস্থিতি সামাল দেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশা বাড়ছে।

আর এর মাধ্যমে নতুন আইন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইউরোপে উদ্বাস্তুদের আগমন পরিচালনার সমস্যাটি সীমান্তবর্তী দেশ বা প্রবেশকারী দেশগুলির হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলিও এই সত্যটি খুব জোরালোভাবে অনুভব করছে। কিন্তু হাঙ্গেরির মতো কিছু দেশের সরকার নিজেদের ঘর সামলাতে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।

সঙ্কটের ব্যাপক সমাধান হিসেবে উদ্বাস্তুদের ন্যায্য বণ্টন বা শরণার্থীদের গ্রহণ না করার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে আর্থিক সহায়তার বিষয়ে একটি নীতিগত ঐকমত্য হয়েছে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের পথে একের পর এক দেশে বাধাগুলো সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর অন্ধকার ছায়া ফেলেছে।

তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন আশ্বস্ত করেছেন যে শেষ মুহূর্তে মতপার্থক্য দূর করে অনিয়মিত অভিবাসন পরিচালনার বিষয়ে একটি সত্যিকারের ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চূড়ান্ত ঐকমত্য সম্ভব না হলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অসামান্য বিষয়গুলো নিষ্পত্তির পর সদস্য রাষ্ট্রগুলো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে দাবি করেন জোহানসন। অতীতের আপত্তি তুলে দিয়ে ‘ক্রাইসিস মেকানিজম’ প্রস্তাবে জার্মানির সম্মতি সেই পথ খুলে দেয়। তবে শেষ মুহূর্তে ইতালির বিলম্বের কারণে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

শরণার্থী সংকট জাতীয়, আঞ্চলিক এবং ইউরোপীয় পর্যায়ে ভোটারদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করে, ক্ষমতাসীন দলগুলো যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয়ভাবে চরম ডানপন্থীদের অবস্থানকে দুর্বল করতে চাইছে।

বিশেষ করে ২০২৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে শীর্ষ নেতারা ফলাফল দেখাতে মরিয়া। তবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দ্রুত আইন প্রণয়ন করলেও শরণার্থী সংকট কতটা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ইইউ পরিকল্পনা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী শক্তিগুলো শক্তিশালী হাত পেতে পারলে শরণার্থী নীতি আরও কঠোর রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন কাঠামোর অধীনে, ইতালি এবং গ্রিসের মতো দেশগুলিকে আর একা একা সমস্ত চাপ কাঁধে নিতে হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি অংশও কিছু শরণার্থী গ্রহণ করবে বা তাদের অর্থায়ন করবে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত তদন্ত করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলে, উদ্বাস্তুকে তার মূল দেশে বা ট্রানজিট দেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে। শরণার্থীদের দীর্ঘ সময়ের জন্য সীমান্ত কেন্দ্রে রাখাও সম্ভব হবে। খুঁটিনাটী বিষয় নিয়ে জার্মানি ও অন্যান্য কিছু দেশের মধ্যে রফা হওয়ায় এই পরিকল্পনা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে।

About Nasimul Islam

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *