রোববার ভোর ৫ টা থেকে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যানজট ছিল। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পদ্মা সেতুতে ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। যার জন্য এবার তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতুতে মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেতু বিভাগ। তারা বলছেন, সেতু ও টোল প্লাজার আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিছু লোক ব্রিজে নেমে মালামাল চুরি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় মানুষ যাতে সেতুতে উঠতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি আর্মি সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইএসএসটিকে। প্রথম আট ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি যানজট ছিল।
মুন্সীগঞ্জ, ২৬ জুন এক চিঠিতে প্রকল্প পরিচালক জানান, সেতুতে যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই। টোল প্লাজার আশেপাশে অনেকেই যন্ত্রপাতি ও মালামাল নষ্ট করছেন। সেতুর চারপাশে এখনও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। টোল প্লাজার চারপাশে কোনো বেড়া দেওয়া হয়নি। ফলে অনেকেই বাইরে থেকে ঢোকার চেষ্টা করছেন। আর গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে সেলফি তোলা, শুয়ে শুয়ে ছবি তোলা, রেলিংয়ে ওঠার চেষ্টা করা। এতে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এছাড়া মালামাল চুরির ঘটনাও ঘটছে। এ কারণে বেসামরিক নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ থেকে ব্রিজ দেখতে আসা সীমা আক্তার বলেন, সেতুটি তার বাড়ির কাছেই। তাই আসলামের সঙ্গে প্রথম দেখা। ভেবেছিলাম ব্রিজ পার হতে পারব। পায়ে হেঁটে এবং কাছাকাছি দেখা যায়। কিন্তু এখানে এসে দেখি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেতুর আশেপাশে ভিড় জমাতে দিচ্ছে না। তাই মোটরসাইকেলে উঠলাম।
সেখানে অনেক সাধারণ মানুষ এবং সবার প্রতিক্রিয়া এরকম। কিন্তু সবাই আটকে যাচ্ছে না। তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সেতুর দিকে যাচ্ছে। সেতুর চারপাশে দিনভর গাড়ি-গাড়ি দেখা গেছে। তারা বিভিন্নভাবে সেলফি ও টিক টকের মতো ভিডিও তৈরি করছে।