কথায় বলে, ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা’। আর একবার ধরা পড়লে তার যে আর রক্ষে নেই, এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয় চোরকে। আর এরই জের ধরে এবার চুরি করতে গিয়ে রীতিমতো ফাঁদে পড়ে যায় এক চোর, তবে জনগণের হাত থেকে বাঁচতে সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে সহায়তা চান তিনি ওই চোর। আর এরপরই ঘটলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
বরিশালের সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে চুরি করতে গিয়ে দোকানে আটকে গেছে চোর। এ সময় তিনি জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নিজেকে বাঁচাতে সাহায্য চান। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে একটি চুরির মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওইদিন ভোরে ওই ইউনিয়নের আরখান বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক। ইয়াছিন খান (৪১) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হিহরিশ গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়ক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আরখান বাজারের ঝন্টু হাওলাদারের মুদি দোকানের ভেতর থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। এ সময় স্থানীয় কেউ কিছুই বুঝতে পারেনি।
এদিকে উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, বুধবার ভোররাতে সে দোকানের তালা ভেঙে চুরি করে। তবে মালামাল চুরি করে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে যেতে ভোর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দোকানের সামনে মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। এরপর দোকান থেকে মালামাল নিয়ে পালানোর সুযোগ হয়নি। এবং যদি সে ধরা পড়ে তবে তাকে মারধর করা হবে, তাই তিনি 999 নম্বরে কল করে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আটক ব্যক্তি বুধবার সকালে জরুরি সার্ভিসের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি খুব বিপদে আছেন। পুলিশ এসে দ্রুত তাকে উদ্ধার করুক। পরে তাকে কনফারেন্সে রেখে ৯৯৯ নম্বরে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ডিউটি অফিসারকে জানানো হয়। এ সময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাকে দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার করে। তাকে উদ্ধার করা হলে দোকানের দামি জিনিসপত্র ব্যাগে ভর্তি ছিল।
তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তি পুলিশকে বলেছে যে চুরি হওয়া মালামাল প্যাক করতে এবং ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। দোকানের পাশে লোকজন দাঁড়িয়ে ছিল। এ কারণে তিনি বাইরে যেতে পারেননি। তার জীবনের ঝুঁকি ছিল।
তিনি বলেন, ফোনে এ সব কথা শুনে ততক্ষনাৎ তাকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায় পুলিশ পরবর্তীতে তাকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে নেয়ার আদেশ দেন।