গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। পদে থাকাকালীন সময়ে একগ্রতার সহিত তিনি তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে ইসিকে বলেছেন যে কদিন আছেন চুপচাপ থাকেন, চা-টা খান।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাড়াবাড়ি করছে অভিযোগ করে কমিশনকে চুপচাপ বসে চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বচ্ছ সেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন কমিশন সকালে এক কথা বলে বিকেলে আরেক কথা। যার কাজ সে করবে। নির্বাচন কমিশন এত কথা বলে কেন? কে নির্বাচনে আসবে এটা কোন ব্যাপার না, কে নির্বাচনে আসবে না, এটা বলার আপনি কে? তুমি কে?’ ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে মীমাংসা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন। সরকার ভাববে কীভাবে তারা জনগণের সঙ্গে মিটমাট করবে, কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। থুটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে এই নির্বাচন কমিশন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আগামী নির্বাচন কি এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে? হাসিনা যখন নেই, তখন তাড়াতে হবে। এটা পাওয়া যাবে না। কয়েকদিন যারা আছেন তারা চুপচাপ বসে চা পান করুন। সাংবিধানিক অবস্থান থেকে গণতন্ত্রের সবকিছু দেওয়ার অধিকার আপনারা কেউ দেননি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। অজান্তেই চা পানের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার বাড়ি ঘেরাও করতে চাইলে তাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাবেন। কেউ যদি আপনার বাড়ি ঘেরাও করতে যায়, আপনার কাছে কি পর্যাপ্ত চা পানি আছে? না
‘তারা আপনার চা পার্টিতে যেতে পারে না; দেশের মানুষ জনগণের বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে জিনিসপত্র গুছিয়ে গাড়িতে রেখে বিদায় জানাতে যান। ক্ষমতা না ছাড়লে তাই হবে। হয়তো অজ্ঞান হয়ে চা পান করার কথা বলছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বললেন, খালেদা জিয়াকে টুস করে পানিতে ফেলে দেয়া এটা একান্তই হাস্যরস। অর্থাৎ শেখ হাসিনা রসিকতাও জানে। রসিকতা খালেদা জিয়ার সাথে করেন। কিন্তু জাতির সামনে যে রসিকতা ১৪ বছর যাবৎ করছেন, এটার হিসাব জনগণ একদিন নিতেই পারে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক ডা: আসাদুজ্জামান রিপন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট পাঁচজন হলো নির্বাচন কমিশনার। দেশে ভোটের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও ভোট সম্পর্কিত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করা নির্বাচন কমিশানারদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। কমিশনাররা তাদের দায়িত্বকে প্রধান্য দিয়ে সকল দায়িত্বগুলো পালন করে থাকে।