সিঙ্গাপুরে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হকের (চুন্নু) সঙ্গে বৈঠকের খবরকে ‘নোংরামি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয় যে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান। জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এগুলো সম্পর্কে আমি কথা বলতে চাই না। আমার রুচির বাইরে এগুলো।’
এরপর মির্জা ফখরুল বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এখানে এমন সমাজ তৈরি করে ফেলেছে এই সরকার, এমন একটা জগৎ তৈরি করেছে, যে জগতে নোংরামি ছাড়া কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘এটা একটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার, যেখানে আমাদের মতো রাজনীতিবিদ—আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ছিলাম, এখন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে যুক্ত আছি, আমাদের জড়িয়েও এ সমস্ত নোংরা কথাবার্তা ছড়ায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণমাধ্যমে ছড়ায় ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ায়। যেটা আমি মনে করি, এর উত্তর দেওয়াটাও আমার লজ্জাকর ব্যাপার।’
বিদেশে যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির কথাও সাংবাদিকদের জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রায় চার ঘণ্টা ফ্লাই করে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছি। আমাদের হয়রানি করার জন্য সরকারের যত রকম কৌশল আছে, এখানেও তার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। আমরা যারা বিরোধী দল করি, আমাদের যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে, ফেরার সময় হয়রানি করে। এটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য গেছি, তারপরও এগুলো ফেস করতে হয়।’
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ৯ দিন পর মির্জা ফখরুল ইসলাম দেশে ফেরেন। গত ২৪ আগস্ট তিনি স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গাপুর যান। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হয়। কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। তাঁর গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এর বাইরে নতুন করে মির্জা ফখরুলের শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য সিঙ্গাপুরের ওই হাসপাতালে যেতে হয়।