প্রতিবছরেই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য নাগরিক নানা কর্মের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে। এমনকি সরকারও অনেককেই বিদেশে প্রেরন করে থাকে। এক্ষেত্রে সরকার অন্য দেশের সঙ্গে নানা বিষয় চুক্তি করে থাকে। কিছু দিন আগে এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের। তবে চুক্তির বিষয়বলি এখনও কার্যকর হয়নি। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
চুক্তি হলেও মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। তাই এখন কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করতে কর্মচারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি আরও বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নিয়ে গুজব সত্য নয়। দীর্ঘ বিরতির পর গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছায়। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সমঝোতা হয়নি। দেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে ইতিমধ্যে একটি চক্র সরব হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দালালদের টাকায় এবার মালয়েশিয়া যাওয়া সম্ভব নয়। সবকিছু চূড়ান্ত হলে কত খরচ হবে এবং কোথায় যোগাযোগ করতে হবে তা জানানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগের খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবে। শ্রমিকদের কত টাকা লাগবে তা সরকার ঠিক করবে। এর বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সংখ্যা নিয়ে গুজব সত্য নয়। কোন এজেন্সি নিয়োগ করবেন তা নিয়োগকর্তাদের উপর নির্ভর করে। সবকিছু ঠিক থাকলে দূতাবাস সব সংস্থার ন্যায্য দাবি যাচাই করবে বলে জানান তিনি। এর বাইরে শ্রমিকদের হয়রানি কমাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি একবারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নের জন্য অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতির উপর বিশেষ ভাবে প্রভাব ফেলে। বর্তমান সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর ভিত্তি করে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এমনকি বর্তমান সরকার এই রিজার্ভ অর্থ থেকে বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশকে ঋন প্রদান করেছে।