গতকাল রাতে ( Last night ) সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda ) ডিপোতে বি/স্ফোরনের ( B / Sporoner ) ঘটনা ঘটে। এতে ডিপোর এলাকা জুড়ে আ/গুন ধরে যায়। আ/গুন নিয়ন্ত্রনের জন্য দীর্ঘক্ষন ধরে কাজ চালিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিস টিমের ( fire service team ) কর্মীরা। আর এই উদ্ধার কাজ করতে জীবন হারান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ( Moniruzzaman )।
আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা। কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নার্সিং ( Nursing Kumira Fire Service Station ) অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান ( Moniruzzaman ) (৩২) মৃ/ত্যুর আগে মামা মীর হোসেনকে ( Mir Hossain ) ফোন করে এ কথা বলেন।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আ/গুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় তার মৃ/ত্যু হয়।
প্রয়াত হওয়ার আগে ভাগ্নের বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে কাঁদছেন মামা মীর হোসেন। তার আহাজারিতে ভারি হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বি/স্ফোরণে অন্তত ২২ জন প্রয়াত হয়েছেন। এর মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং এটেনডেন্ট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান (৩২)ও রয়েছেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে।
সকালে মনিরের বড় মামা মীর হোসেন হাসপাতালে এসে ভাগনের নিথর দেহ শনাক্ত করেন। আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন মনির। তিনি দুই মাস আগে কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দেন। তার দুই মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিপোতে অগ্নীকান্ড নিয়ন্ত্রন অভিযানে প্রয়াত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সহ ২২ জন। তিনি প্রয়াত হওয়ার আগে তার মামার নিকট তার সন্তানকে দেখা রাখার আকুতির কথা জানালেন তার মামা মীর হোসেন।