মারা গিয়েছেন চিত্রগ্রাহক জাহিদ হোসেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। তারপর মৃ/ ত্যু পর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এ ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ২০২২ তারিখে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
ওই সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সকালে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন তিনি। চকোরিয়া পৌঁছানোর পর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন; সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নাট্য নির্মাতা অনন্যা ইমন রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদ হোসেনের মরদেহ ঢাকায় আনতে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কবে কোথায় জানাজা ও দাফন হবে তা জানা যায়নি।
অনন্যা ইমন বলেন, “জাহিদ আমার খুব কাছের ছিল। আমার পরিচালিত ‘গ্রেট গার্লফ্রেন্ড’ নাটকে জাহিদ অভিনয় করেছিলেন। এটাই আমাদের শেষ কাজ। আরেকটি কাজের কথা ছিল কিন্তু তার আগেই তিনি চলে যান।
জাহিদ হোসেন নাটক-টেলিফিল্মে চিত্রগ্রাহক হিসেবে ভালো কাজ করেছেন। তিনি তার বেল্ট অধীনে সব তারকা এবং বড় বাজেটের কাজ আছে. তার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা অভিনেতা-পরিচালক শোক প্রকাশ করেছেন।
ছবি পোস্ট করে খ্যাতিমান পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান লিখেছেন, আমি তিনবার এসেছি, কিছুই লিখতে পারিনি। আমি আবার এটা করতে পারে না. অভিনেত্রী মনিরা মিঠু লিখেছেন, আমাদের প্রিয় চিত্রগ্রাহক জাহিদ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, আমি স্তম্ভিত হয়েছি। তা ছাড়া অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব, ইরফান সাজ্জাদ, সালহা খানুম নাদিয়াসহ অনেকেই ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন।
চিত্রগ্রাহক হিসেবে জাহিদ হোসেনের উল্লেখযোগ্য নাটক-টেলিফিল্মগুলো হলো- সুইপার ম্যান, পেয়িং ঘোস্ট, লাভ প্রিজন, গ্রেট গার্লফ্রেন্ড, এখানে দুই, ও আমার ভোঁ না, চিরকুট ও নীল শাড়ি, অন্তরাধান, এই শেষ নয় ইত্যাদি।
জাহিদের প্রাণের পরে অনেকেই তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তার পরিবারের মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার সমাধিস্থল কোথায় বা কখন করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাকে তার নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।