গত ২৫ মে ( May ) র্যাব এক গোপন অভিযানে নামার পর তাদের সাথে ঘটে যায় অপ্রত্যসিত ঘটনা। পূর্বে পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হা/ মলা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনায় দুই র্যাব কর্মকর্তা সহ তিন জন বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে হেলিকপটারে করে তাদের ঢাকায় ( Dhaka ) আনা হয়। এই ঘটনায় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রও ক্ষুয়া যায় ঘটনা স্থলে।
এই ঘটনা উপলক্ষে গত শনিবার ২৬ মে ( May ) বারইয়ারহাট পৌরসভায় হারানো অস্ত্র উদ্ধার এবং পৌরসভার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক দূর করতে শান্তি সম্মেলন করে। হারানো অস্ত্র ফেরত দিতে জোরারগঞ্জ ( Zorarganj ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন ( Nur Hossain ) তাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। ঘোষণার ১৮ ঘণ্টা পর অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
২৫ মে ( May ) সন্ধ্যায় বারিয়ার হাট পৌর বাজারে সাদা পোশাকে মা/ দকবিরোধী অভিযানে যায় র্যাবের ( Radhab ) একটি দল। এ সময় ‘ডাকাত, ডাকাত’ এমন গুজব ছড়িয়ে র্যাব সদস্যদের ওপর হা/ মলা চালানো হয়। এতে দুই র্যাব সদস্যসহ তিনজন গুরুতর আ/ হত হয়েছেন। হামলায় র্যাব সদস্যরা দুটি অস্ত্রও হারিয়েছে। ঘটনার পরদিন রাতে ( night ) পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। তবে অন্য অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এটি উদ্ধারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাবের আরেকটি অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন বলেন, র্যাবের দুটি অস্ত্রের মধ্যে একটি আগে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য শনিবার বিকেলে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেয় পুলিশ। পরে শনিবার রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন বাবুলের বাড়ির সামনে অস্ত্রটি রাখা আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি অস্ত্রসহ পাওয়া একটি চিরকুটে লিখেছেন, র্যাবের ওপর হা/ মলার সময় অস্ত্রটি খুঁজে পাওয়ার ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জমা দিতে পারিনি।
মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভায় র্যাবের ওপর হা/ মলার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে শান্তি সম্মেলন শেষে বারিয়ার হাট বাজার এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেতায়াত উল্লাহ বলেন, আ/ তঙ্ক কমছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এই ঘটনা ভুক্তভোগি ওই দুই র্যাব কর্মকর্তারা ঢাকায় এক হসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত এখনো চলমান। গ্রেফতারকৃত ওই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।