নাবিকরা জানিয়েছেন, বারাণসীর রামনগরে রমনার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীতে মাছটি পাওয়া গেছে। আমাজন নামটি শুনলেই সবার আগে যে জিনিসটি আসে তা হল ভয়ঙ্কর প্রাণী। কারণ আমাজনের ঘন জঙ্গলে রয়েছে নানা ধরনের ভয়ংকর প্রাণী ও গাছপালা এবং আমাজন নদীতে অনেক দানবীয় মাছ রয়েছে।
ভাবুন তো আমাজন নদী থেকে একটি মাছ যদি গঙ্গা নদীতে দেখা যায়, তা কতটা ভয়ঙ্কর হবে? এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে বারাণসীর গঙ্গা নদীতে। বারাণসীর গঙ্গা নদীতে একটি আশ্চর্যজনক মাছ পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় এই মাছটি দেশীয় মাছ নয়। আর এই খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবার মনে আতঙ্ক তৈরি হয়। বৈজ্ঞানিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নাবিকরা জানিয়েছেন, বারাণসীর রামনগরে রমনার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীতে মাছটি পাওয়া গেছে। মাছটির অদ্ভুত আকৃতি, শরীরের গঠন ও গায়ের রং বলছে মাছটি আমাজন নদীর। মাছটি স্যাকারমাউথ ক্যাটফিশ নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন যে মাছটি একটি মাংসাশী এবং মাছটি গঙ্গা নদীর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। তাই মাছ পাওয়ার পর গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মাছ মাংসাশী হওয়ায় গঙ্গার ছোট মাছ খাবে।
কিন্তু সবার মনেই প্রশ্ন, সুদূর আমাজন থেকে মাছগুলো কীভাবে গঙ্গায় ঢুকল? এর কারণ, বাণিজ্যিক কারণে অ্যাকুরিয়ামে বিভিন্ন ধরনের মাছ রাখা হয়। হয়তো কেউ ভুলবশত অ্যাকুরিয়ামের মাছ গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে। আর হয়তো এ কারণেই মাছটি দেখেছেন নাবিকরা। এর আগেও গঙ্গা নদী ও আমাজন নদীতে এই মাংসাশী মাছ পাওয়া যেত। কয়েক বছর আগে বিহারের সাথী গঙ্গা এবং নিম্ন আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীতে এই মাছ দেখা যেত।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাছ খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। এবং ৪৯ সেমি পর্যন্ত বাড়তে পারে। এছাড়াও মাছের ওজন ৩১০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। মাছটি জলজ শৈবাল এবং ছোট মাছের উপর বেঁচে থাকে। তাই অনেক ছোট মাছ খেয়ে গঙ্গার বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।