ঢাকা ১৭ আসনের এমপি ও এক সময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা আকবর হাসান পাঠান ফারুক বর্তমান সময়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। কারন সেখানে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর তিনি দেশে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো আশানুরুপ উন্নতি না হওয়ায় তিনি সিঙ্গাপুরে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছেন।
তার অনুপস্থিতিতে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম (শিপন) যিনি ফারুকের ব্যক্তিগত সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন অনৈ’তিক ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বলে উভিযোগ ওঠে।
নায়ক ফারুকের স্ত্রী মিসেস ফারহানা পাঠানের হাতে লেখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এই প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ফারহানা পাঠান লেখেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ-সদস্য আকবর হােসেন পাঠান (ফারুক), এমপি (১৯০ ঢাকা-১৭) -এর অভিপ্রায় অনুযায়ী তার প্রিভিলেইজভুক্ত ব্যক্তিগত সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মােহাম্মদ মকসুদ আলম (শিপন), পিতা: এ.এফ.এম আশরাফুল আলম, মাতা: ফরিদা আলম, গ্রাম: লংরাইর, পাে: লংগাইর, থানা: গফুরগাঁও, জেলা: ময়মনসিংহ-কে উক্ত পদ থেকে ২১/০১/২০২১ খ্রি: তারিখ হতে নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলাে।’
সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে বলা হয়েছে, পদবী ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে বেআইনি সুবিধা গ্রহণ করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন মােহাম্মদ মকসুদ আলম (শিপন)। বারবার এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হলেও তিনি নিজেকে সংশোধন করেননি।
পদ থেকে অব্যাহিত পাওয়া মােহাম্মদ মকসুদ আলমের (শিপন) সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ফারহানা পাঠান।
গত ৮ নভেম্বর, মোহাম্মদ মাকসুদ আলমকে (শিপন) অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে এ. কে, এম আহসান উদ্দিন দেওয়ান যিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ডিসিপ্লিন এন্ড প্রিভিলেইজড শাখার সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার স্বাক্ষর করা একটি অফিস আদেশও জারি করা হয় বলে জানা গেছে। অফিস আদেশ জা’রি করার যে লিখিত কপি সেখানে অভিযুক্ত ঐ ব্যাক্তির নাম ছাড়াও জনাব আকবর হাসান পাঠান (ফারুক), সংসদ সদস্য, স্পিকারের একান্ত সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবালয়ের সচিবের একান্ত সচিব এবং আরও অনেকের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।