প্রথমবারের মতো ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। তবে নির্বাচনের পর এক বছরও সংসদ সদস্য থাকার সৌভাগ্য হয়নি এই নায়কের। কারণ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করার পর সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে সাত মাসের মাথায় এমপির পদ থেকে ছিটকে যান ফেরদৌস।
শেখ হাসিনার বিদায়ের খবর পাওয়ার পর সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছেড়েছেন। একই সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস। তিনি দেশে আছেন নাকি দেশের বাইরে, তার কোনো খবর নেই।
এরই মধ্যে ফেরদৌসের এমন দুঃসময়ে আরেক দুঃসংবাদ এলো অভিনেতার কাঁধে। জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকার কারণে টলিউডের একটি সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
অর্কদীপ মল্লিকা নাথের ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’-তে অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌসের। এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক রানা সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ফেরদৌস আর এই সিনেমায় নেই। তার কথায়, ‘দুই বাংলার দর্শকদের লক্ষ্য করে ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আবেগের কথা মাথায় রেখে আমি আমার কোনো সিনেমায় এমন কোনো বাংলাদেশি অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে কাস্ট করব না, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সে হিসেবে ফেরদৌসকে আমরা সিনেমায় রাখছি না।
প্রযোজক আরও জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। গত জানুয়ারি থেকে ফেরদৌসের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত বছরের শুরুর দিকে, অভিনেতাদের চেহারা প্রকাশ করে ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। এখনো শুটিং শুরু হয়নি। এই দেরি কি ফেরদৌসের কারণে? এমন প্রশ্নের জবাবে রানা সরকার বলেন, ‘২০২৩ সালে ছবিটির শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসের কারণে নয়, নানা কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় এর শুটিং হবে, তাই সেখানে শুটিংয়ের অনুমতির ব্যাপার আছে।
তবে ফেরদৌসের পরিবর্তে কে হতে পারে সিনেমায় তা নিয়েও কথা বলেছেন রানা সরকার। তিনি বলেন, ফেরদৌসের পরিবর্তে বাংলাদেশি অভিনেতা জিয়াউল রোশান থাকতে পারেন। প্রযোজকের মতে, রোশানকে নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। শুটিং শুরুর আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তিনি যদি এটি করতে চান তবে তিনি অবশ্যই চলচ্চিত্রে থাকবেন।সে সময় ফেরদৌস ভাইয়ের রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।’