চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ব’স্তা’ব’ন্দি’ অব’স্থায় ‘উদ্ধা’র করা হয় বাংলা রূপালী জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর ‘মৃ’ত’দে’হ। এ ঘটনার একদিন পরেই স্বামী নোবেলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শিমুর ভাই ভাই হারুনুর রশীদ। আর এ মামলার আলোকে পরবর্তীতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আর এদিকে এবার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে ২৩ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ‘অজ্ঞা’ত অভি’নেত্রী রাই’মা ইসলাম শিমুর ‘লা”শ’ উ”দ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধা’রে’র পর প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তার নাম শনাক্ত করে।
শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম রাবেয়া বেগম নোবেল ও ফরহাদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেন। ২০ জানুয়ারি দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষে গত ২৯ আগস্ট শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
এদিকে ইতিমদ্ধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদে এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন শিমুর (প্রয়াত) স্বামী নোবেল। বন্ধু ফাহাদের সহযোগিতায় নিজ বাসায় শিমুকে শেষ করা হয়। এরপর বস্তায় ভোরে কেরানীগঞ্জের একটি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় তাকে।