নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো আবেদন আমার কাছে পৌঁছায়নি। তা ছাড়া নির্বাচনী বিধিমালায় জমা দেওয়ার আগে মনোনয়নপত্র বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। সাধারণত, মনোনয়নপত্র জমা না দিলে তা বাতিল হয়ে যাবে। এবং জমা দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন সাংবাদিক আমার ও আমার ছেলের নামে মনোনয়নপত্র কিনেছেন কিনা জানতে চান। আমি তাদের বলেছি মনোনয়ন কেনার প্রশ্নই আসে না। একই সঙ্গে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছি। আমি জানাতে চাই যে, নির্বাচন অফিস থেকে আমাদের নামে কাউকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে বলা হয়নি। আমি জানতে চাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। এই সংগ্রাম সফল না হওয়া পর্যন্ত আমি ও আমার ছেলে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। কোনো লোভ আমাদের পথচ্যুত করতে পারবে না।’
চিঠি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন বিএনপি নেতা
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নাজমুলের নাম গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে মোহাম্মদ কায়সার রিফাতের নামে যিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি গিয়াস উদ্দিনের আরেক ছেলে নাসিক কাউন্সিলর জিএম সাদরিলের পিএস হিসেবে কাজ করেন। নাজমুল এই সংগ্রহ করেন। উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র সহ মনোনয়ন।