জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ নানা অনিয়ম করেও চিকিৎসকদের বদলি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে আওয়ামী লীগও অনুপ্রবেশ করেছে। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল-২০২৩-এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এত বিল পাস করা সম্ভব হবে? কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। কারো কাছ থেকে সাড়া নেই। আমরা শুধু সংসদে কিছু আলোচনা করি। এগুলো চাকরি নয়। একটু আগেই আলোচনা হয়েছিল যে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় না। মাননীয় স্পিকার, আল্লাহ না করুন, আপনার কিছু হলে সরকারি খরচে আপনি সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক যেতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? অক্সিজেনের অভাবে শিশুকে নিয়ে এসেছেন কুমিল্লার এক বাবা। তারপর সে এই হাসপাতালে যায়, অক্সিজেন নেই, সে হাসপাতালে যায়, অক্সিজেন নেই। তার বাবা তাকে কুমিল্লা থেকে স্কুটিতে করে নিয়ে আসেন। শিশু হাসপাতাল হিসেবে কোনো আসন নেই। বাইরে থেকে ওই হাসপাতালে যেতে আনসার মো. পরে শিশুটি মারা যায়। সাংবাদিক গিয়ে দেখেন আটটি আসন খালি। ডাক্তার এলে রোগী বলবে সিট নেই, তখন ডাক্তার রোগীকে তার হাসপাতালে পাঠাবেন। আমি সংসদে বললাম, আপনি কি কোনো ডাক্তারকে বদলি করতে পেরেছেন? পারে না কারণ আওয়ামী লীগ ডাক্তারদের অনুপ্রবেশ করেছে। চিকিৎসকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।
হায়রে স্বাধীনতা, কি চমৎকার শব্দ নিয়ে এলাম। নামের আগে স্বাধীনতা লিখলে এদেশের আর কোথাও জবাবদিহি নেই। শুধু লিখুন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, স্বাধীনতা হকার পরিষদ, হয়ে গেছে স্বাধীনতা সংসদ।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, “জেলা পর্যায়ে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ঢাকায় যান। একটি মেডিকেল কলেজ কতটা সামলাবে? পিজি হাসপাতাল কতটা সামলাবে? কিন্তু আপনি যদি যান। একটি প্রাইভেট হসপিটালে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়।গরিবকে কেউ টাকা দেয় না।