টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় নির্মাতা সারোয়ার জাহান তার স্ত্রী রুকাইয়া তাহসিনা ওরফে অন্তরা মেহজাবিনের ‘প্রতারণার’ শিকার হয়েছেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলাম স্ত্রী রুকাইয়া তাহসিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আনোয়ারুল কবিরের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
গত ২৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বাদীর আইনজীবী আল মামুন রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা সারোয়ার জাহান গণমাধ্যমকে বলেন, রুকাইয়া তাহসিনা ওরফে অন্তরা মেহজাবিন ২০১২ সালে আমার সঙ্গে বিয়ে হয়। আমাদের দুই সন্তান রয়েছে। আমার সঙ্গে থাকার সময় আনোয়ারুল কবির ওরফে শাকিল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়া হয়। গত ৬ বছর ধরে আমার ও আনোয়ারুল কবিরের সঙ্গে তার সম্পর্ক অব্যাহত ছিল।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় সম্প্রতি এই দুই আসামির যোগযাজশে সারওয়ার জাহানের বড় সন্তান আহিল সারওয়ারের জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে বাবার নাম আনোয়ারুল কবির বসিয়ে একটি বানোয়াট পাসপোর্ট তৈরি করেন। এক্ষেত্রে নিজের ১২ বছরের বৈধ স্বামীর নামের স্থলে ভুয়া স্বামী আনোয়ারুল কবিরের পরিচয়ে পাসপোর্ট পরিবর্তন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আমার ছোট সন্তান সেহরিশ সারওয়ারের ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।
অভিযুক্ত দুই আসামি বাদী সারোয়ার জাহানের সঙ্গে বিয়ে বৈধ থাকা অবস্থায় ব্যভিচার, স্বামী ও সন্তানের পিতার নাম পরিবর্তন এবং জন্ম সনদ জাল করে জালিয়াতি করে। ভুয়া পাসপোর্ট করে ভারত হয়ে ইউরোপে পালানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা ফৌজদারি অপরাধ।
বাদীর আইনজীবী আল মামুন রাসেল গণমাধ্যমকে জানান, দুই আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় আদালতে বাদীর আবেদন করা হয়। বিবাদী নং ১ বাদীর স্ত্রী এবং বিবাদী নং ২ তার স্ত্রীর কথিত স্বামী। আসামীরা একে অপরের সাথে যোগসাজশ করে বাদীর সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট জাল করে। যেখানে বাদী শিশুর নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন।
অভিযানের দায়িত্বে থাকা কাফরুল থানার এএসআই একরামুল জানান, বিষয়টি তারা অবগত আছেন। বাদী ইতিমধ্যে তাদের সাথে দেখা করেছেন। কিন্তু পরোয়ানা এখনো থানায় আসেনি। এটি সার্ভার ত্রুটির কারণে হতে পারে। পরোয়ানা পাওয়া গেলে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।