চাচির সাথে চুটিয়ে প্রেম করতেন যুবক। তবে তাদের সম্পর্কের কথা বেশিদিন চাপা থাকেনি। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের কথা লোকমুখে ছড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে চাচির সাথে সম্পর্কের কারণে তার দুই হাত হারান তিনি। তার নাম হাদিউল। তার চাচা জালাল মিয়া তাকে চাকরির জন্য ডাকে নিয়ে তার কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাদিউল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাদিউল মিয়া। শিবপুর উপজেলার বারগাঁও গ্রামের মের্শেদ মিয়ার ছেলে মো. অপরদিকে আসামী জালাল মিয়ার বাড়ি নয়াকান্দা গ্রামের আক্কাছ। মিয়ার ছেলে ও খালাতো ভাই হাদিউলের খালা, দুলাভাই। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুফির সঙ্গে হাদিউলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে হাদিউলের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিরোধ চলছিল। এদিকে শনিবার রাতে জালাল মিয়া তার কাজের কথা বলার জন্য হাদিউলকে বাসায় ডেকে নেন।
পরদিন মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে জালাল মিয়া তাকে বাড়ির পাশের একটি ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে সে তার হাত, পা ও মুখমন্ডল বেঁধে তার দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলে। হাদিউলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস জানান, ফুফির সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত। এ বিষয়ে এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা দায়েরের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।