দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক ও কর্মীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যার কারণে চাকরি হারান তিনি। তাছাড়া তিনি দেশের এক মণ্ত্রীর ছেলেও বেশ কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ হয়রানি, নি”র্যাতন, গ্রেফ’তার ও ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিন ভুক্তভোগী।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের দুই কর্মকর্তা ও প্রবাস থেকে ফেরা এক ব্যবসায়ী।
শরীফের শাশুড়ির বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সরোয়ার হোসেনকে মিথ্যা মা’মলায় গ্রে”প্তার ও হ’য়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন তারা। দিদারুল ইসলাম নামে আরেক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, কোম্পানিতে সততার জন্য যিনি শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন সেই ব্যক্তিকে বিনা কারণে মামলায় আসামি করে হয়রানি করা হয়েছে।
তারা জানায়, শরীফ হাউজিং কোম্পানি আরএফ প্রপার্টিজের মালিক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মাম’লায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে দুটি দোকান দাবি করে। দোকান না দেওয়ায় শরীফ দেলোয়ার ও তার অবিবাহিত মেয়ে ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মাম’লা করেন। বছরের পর বছর মিথ্যা মামলার খেসারত বয়ে বেড়াতে হয় তাদের। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা শরীফের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ দাবি করার একটি অডিও রেকর্ডিংও শোনান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, হয়রানি, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে শরীফকে দুদক থেকে বরখাস্ত করা হলেও এখন তিনি নিজেকে সৎ দাবি করে চরম মিথ্যাচার করছেন। আবার দুদকে ফেরার জন্য প্রচুর তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা শরীফের আয়ের উৎস, কোথায় তার সম্পদ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়ে তার বিরুদ্ধে আরও তদন্তের দাবি জানান।
তবে ঠিক কি কারণে শরিফ উদ্দিন কে চাকরীচ্যুত করা হয় সে বিষয়ে প্রথমদিকে দুদক সচিব তেমন কিছু না জানালেও, পরে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য শরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৭-৮ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে শরীফ এ সকল বিষয়ে জানিয়েছেন, তাকে ভিণ্ন কারণে অপসারন করা হয়েছে। এদিকে শরীফ ৮০ হাজার টাকা বেতনে একটি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।