চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় এক নারীকে জোরপূর্বক খারাপ কাজে মিলিত করার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিজে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম মঞ্জু ওরফে হাসান। তিনি রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থেকে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন।
গ্রেপ্তার মঞ্জু রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার বালুয়াঘাটা গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আসতে বলেন। কথামতো জামগড়ায় এলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে দুপুরের খাবারের জন্য জামগড়ার আঁখি রেস্টুরেন্টের কেবিনে বসেন তারা। এ সময় মঞ্জু ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। এতে ভুক্তভোগী নারী তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে রেস্টুরেন্টের একজন ওয়েটার বিষয়টি বুঝতে পেরে ম্যানেজারকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় আনা হলে ভুক্তভোগী নারী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে মঞ্জুর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। আজ বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।