চাকরির প্রলোভোন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমাণ্ডের দাবি করেছে পুলিশ। জানা গেছে, নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৭ জনের কাছ থেকে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা।
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নেত্রকোনা মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে শহরের অজহর রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
গ্রেফতাররা হলেন-ঢাকার হাজারীবাগের রায়ের বাজার এলাকার মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে মুহাম্মদ রেজাউল হক ওরফে টিটু (৪৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের গলধাপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হেকিমের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৯) ও নেত্রকোনা পৌরসভার কাটলী এলাকার আবদুল হেকিমের ছেলে আবু সায়েম (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার সাতজনের কাছ থেকে ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন ওই তিন প্রতারক। পরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়োগপত্র আসলে কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা নিতে নেত্রকোনার অজহর রোডে আসলে তাদের আটক করে এলাকাবাসী। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ফেরত নেওয়া হয়। পরে থানায় খবর দেন তারা।
পুলিশ জানায়, নিয়োগ নিয়ে প্রতারণার মূল হোতা মুহাম্মদ রেজাউল হক টিটু ওরফে রেজা ভান্ডারী (৪৮)। তিনি কখনো প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি আবার কখনো এনএসআই এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এসব প্রতারণা করেছেন। আটকের পর তিনি নিজের পরিচয় দেন বাউল শিল্পী ও সিএনএন এর অনলাইন সাংবাদিক হিসেবে। প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ব্র্যাক ব্যাংক, বিকাশ, রকেট ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল রানার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ জানিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মো. নাজমুল হাসান খান। আর এ মামলার আলোকে তাদেরকে আটকের পর এরই মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।