অবশেষে এবার চাকরির বয়স নিয়ে যে দাবি জানানো হয়েছিল তার সুরহা হতে চলেছে। নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখ থাকায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার যে দাবি যুব প্রজন্ম জানিয়েছে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার ধানমন্ডিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন যুব প্রজন্মের প্রতিনিধি দল। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভীর হোসেন এবং রেজওয়ানা বিন্দু এ সময় তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার উল্লেখ করে। আলোচনাকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু বিষয়টি ইশতেহারে উল্লেখ ছিলো। সুতরাং বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এ বিষয়ে চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদ সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়ে পরবর্তীতে সরকার গঠনের পরও চার বছর হতে চলল। অথচ ইস্যুটি এখনও উপেক্ষিত। ২০১৮ সালে ওয়াদা করা হয়েছিল। এরপর করোনা সকল বয়সী শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে দুই বছর কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণ এখন সময়ের দাবি এবং এটি বাস্তবায়নে কোনো প্রকার কালবিলম্ব সারা বাংলাদেশের যুব প্রজন্ম আশা করে না।
উল্লেখ্য, সরকারী চাকরিতা বয়সের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা উঠে প্রায় সময় এবং এই আলোচনা আরো বেশি জোরদার হয়েছিল মহামারীর সময়টাতে। তবে সরকারী চাকরীর এই বয়স বাড়ানোর দাবি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের