দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা মানতে অস্বীকার করে প্রেমিকার পরিবার। আর এরই জের ধরে জো’র’পূ’র্ব’ক নিজ প্রে’মিকাকে তুলে নিয়ে স’র্বস্ব কে’ড়ে নেয় প্রেমিক ও মামাতো ভাই মো. রাব্বি ইসলাম (২৩)। এ ঘটিনার পরপরই ওইদিন রাতে কী’ট’না’শ’ক পান কেন ওই তরুণী। পরবর্তীতে গত ২৯ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃ’ত্যু’ হয় তার। ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় রাব্বিকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিআইডির এলআইসি বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বুধবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে
গ্রেফতার রাব্বি ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার ছোট পাইককান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামের ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী মীম আক্তার তার মামাত বোন হতো। ছয় মাস আগে প্রথমে প্রেম ও পরে পরিবারের মাধ্যমে মামাতো বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু মেয়েটির পরিবার আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না বলে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে রাব্বি তার দুই সহযোগীসহ তাকে জো’রপূ’র্ব’ক বাড়ির পাশের নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে খা’রাপ কাজ করে। পরে রাতে মেয়েটি কী’ট’না’শক পান করে। হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিন পর সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ‘মৃ’ত্যু’ হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন।
এ ব্যাপারে তার মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে আসামি রাব্বি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মা’ম’লা করেন। পরে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বি তার বিরুদ্ধে উঠে এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় জড়িত অপর দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।