গতকাল রাতে অর্থাৎ বুধবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈগল নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতেরা ওঠার পর তা নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর ডাকাতেরা যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল, নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। সেই সময় বাসে থাকা এক নারী যা্ত্রীর পাশে একজন ডাকাতদলের সদস্য বসতে চাইলে ওই নারীর সাথে বাকবিত”ণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় ডাকাতদলের সদস্যরা ওই নারীকে খারাপ কাজ করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী ওই তরুণী এ তথ্য জানান।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছালে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ওঠে। এর কিছুক্ষণ পর বাসে ওঠা ডাকা”তেরা ঘুমন্ত যাত্রীদের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে অ”স্ত্রের মুখে জি’ম্মি করে। এরপর তারা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লু”ট করে। পরে গাড়িতে থাকা এক নারী যাত্রীকে কয়েকজন খারাপ কাজ করে। এ সময় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে ডাকাতদল যাত্রীদের তিন ঘণ্টা ধরে নি/’র্যাত”নের পর বাস থামিয়ে নামিয়ে দেয়। পরে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
ভিকটিম বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলাম। সিরাজগঞ্জে রাতের খাবারের জন্য বাস থামে। পরে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ডা”কাতরা বাসে উঠে। এ সময় তাদের সবাই মাস্ক পরা ছিল। পরে তারা একত্রিত হয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় তাদের কেউ আমার পাশের সিটে বসতে চাইলে আমি নিষেধ করি। তবে তিনি জোরপূর্বক বসে পড়ে গা”লাগালি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের ছয়জন মিলে খারাপ কাজ করে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদিকুর রহমান জানান, ঐ নারীর সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ঐ নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আ”ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর খারাপ কাজের বিষয়টি জানা যাবে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসা’মিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, টাঙ্গাইল সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজা মিয়াকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চলন্ত বাসে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বলেছে তারা প্রথমে বাসটিকে তাদের আয়ত্তে নিয়ে নেয়, এরপর যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে সবকিছু লুটপাট করে নেয়। সেই সময় বাসের ভেতর থাকা এক নারী যাত্রী তাদের সাথে ঝামেলা শুরু করে, যার কারণে তার সহযোগীরা তার সাথে খারাপ কাজ করেছে।