Sunday , December 29 2024
Breaking News
Home / Countrywide / চলন্ত ট্রেনে আগুন, হাবিবের চোখের সামনেই মারা যায় পপি ও তার ছেলে

চলন্ত ট্রেনে আগুন, হাবিবের চোখের সামনেই মারা যায় পপি ও তার ছেলে

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় ট্রেনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নেত্রকোনার হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিবুরের বোন ও তিন বছরের ভাগ্নে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের নজরদারিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।

এ সময় একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “তাদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। থাকেন ঢাকার তেজগাঁও তেজতুরী বাজার এলাকায়। নাদিরার স্বামী মিজানুরের কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। গত ৩ ডিসেম্বর তারা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস করে রওনা দিয়েছিলেন ঢাকায় ফিরতে। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সঙ্গে ছিলেন তার বোন নাদিরা ও তার দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮)।’

হাবিবুর আরও বলেন, ‘তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেনের পেছনের সিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই বের করতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করে।

About Rasel Khalifa

Check Also

নথিপত্র গায়েব হচ্ছে সন্দেহে তুলকালাম কাণ্ড, দুইটি ট্রাক আটক

বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নে পুরোনো নথিপত্র গায়েব হওয়ার সন্দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *